বায়িং হাউজ ব্যবসায় ( Buying House Business) :
বর্তমানে দেশে পোশাক তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। বিদেশ থেকে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারনত সরাসরি কোনো তৈরী পোশাক শিল্পে প্রতিষ্ঠানের সংঙ্গে যোগাযোগ করে না। তারা পণ্য কিনতে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেয়। দু'পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধরনের পণ্য সরবরাহ করার যাবতীয় দায়িত্বপালন করে । এই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বায়িং হাউজ ব্যবসায় বলে ।
বায়িং হাউজ ব্যবসায় দিতে হলে লাগবে এ ব্যবসার বৈধ সনদ। এ জন্য প্রথমেই-
১. ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে।
২. BGMEA এর সদস্যপদ পেতে আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্সের কপি, মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল বা অংশীদারি দলিলের কপি, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, ভাড়ার চুক্তিপত্র বা ক্রয় দলিল, ট্যাক্স সার্টিফিকেটের কপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র (যদি থাকে) বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়ার্ক পার্মিট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে স্বাক্ষর সহ জমা দিতে হবে। বায়িং হাউজের জন্য নিবন্ধন ফি ১৫ হাজার টাকা। এক বছরের সদস্য ফি ৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জমা দিতে হবে ২৩ হাজার টাকা। BGMEA এর নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব নম্বরে এ টাকা জমা দিতে হবে। সদস্যপদ নবায়নের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে সহযোগী সদস্য হিসেবে একবছরের জন্য সনদ দেয়া হয়। ফলে এক বছর পর সনদ নবায়ন করে নিতে হবে।
বর্তমানে দেশে BGMEA এর সদস্যভুক্ত বায়িং হাউজের সংখ্যা ৯১১টি এবং BGBA এর ১৭৯টি। এ দুই সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন বায়িং হাউজ রয়েছে প্রায় ৮ শত। অর্থাৎ সবমিলিয়ে দেশে বায়িং হাউজের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার।
শেয়ারবাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ (Stock Exchange)
স্টক এক্সচেঞ্জ একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শেয়ার বাজার সম্পর্কে ধারণা করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে শেয়ার ও বাজার সম্পর্কে । অর্থাৎ—
শেয়ার বাজার হচ্ছে এমন একটি সংগঠিত মাধ্যমিক বাজার যেখানে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গুলো শেয়ার, স্টক বা সিকিউরিটি নির্ধারিত নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত থাকে ।
ক্ষুদ্র ঋণ (Micro Credit)
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু প্রায়ই বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো সমাজের গরিব শ্রেণীর মানুষকে ঋণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। আর এই গরীব শ্রেণীর মানুষকে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যেই ক্ষুদ্র ঋণের উদ্ভব।
সাধারন অর্থে ক্ষুদ্র ঋণ বলতে বুঝায়, বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সমাজের নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে অল্প পরিমাণ ঋণ প্রদান করাকে বুঝায়। ব্যাপক অর্থে ক্ষুদ্র ঋণ বলতে বুঝায়, সঞ্চয়, ঋণ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক পরিসেবা বা উৎপাদন, যার সামান্য পরিমাণে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ, শহর বা শহরতলির মানুষদের অর্থনৈতিক এবং জীবন ধারনের মান উন্নয়নে সাহায্য করতে পারবে আর ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা হল সেই সংস্থা যারা এই ধরনের অনুদান দিয়ে থাকে ।
ক্ষুদ্র ঋণ ধারণাটি সর্বপ্রথম আনেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি ১৯৭৬ সালে সর্ব প্রথম তার নিজ গ্রাম জুবরায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই ঋণ চালু করেন। পরবর্তীতে এটির সাফল্যের কারণে ১৯৮৩ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষুদ্র ঋণের প্রচলন শুরু হয়। তাই ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৮০০ এর উপর ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাক বিশ্বব্যাপী পরিচিত। বিশ্বের অনেক দেশ ক্ষুদ্র ঋণকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে। এজন্য জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র ঋণের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
বিকাশ (Bkash)
বাংলাদেশের প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু করেছে। মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনসাধারণের কাছে আর্থিক সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে বিকাশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিকাশের প্রধান সুবিধা হচ্ছে, এটি টাকা পাঠানোর জন্য নিরাপদ, সুবিধাজনক একটি মাধ্যম । ব্র্যাক ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মানি ইন মোশন এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক কোডবদ্ধ ভিসা টেকনোলজি প্লাটফর্ম ব্যবহার করে, তাই এটি অনেক নিরাপদ ।
বিকাশের মাধ্যমে একজন গ্রাহক অতি দ্রুত টাকা পাঠাতে পারে। এই জন্য বিকাশ পয়েন্টে গিয়ে যেখানে টাকা পাঠাতে চায় সেই মোবাইল নম্বর জানাতে হবে। তারপর বিকাশ পয়েন্ট থেকে ঐ ফোন নম্বরে মেসেজের মাধ্যমে টাকা পৌছে যাবে। মেসেজ পাওয়ার সাথে সাথে গ্রাহককে টাকা পরিশোধ করা হয়। এইজন্য অবশ্য নির্দিষ্ট হারে চার্জ দিতে হয়।
আউটসোর্সিং ব্যবসা (Outsourcing Business)
আউটসোর্সিং তথা ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার পেশা । ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন তাদেরকে
ফ্রি-ল্যান্সার বলে ।
আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা, লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। এইসকল কাজগুলি ইন্টারনেট ব্যবসায়ের মাধ্যমে করে
দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব ।
আউটসোর্সিং এর কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইট হলো- www.odesk.com, www.elance.com, www.vworker.com ইত্যাদি ।
ডাটা এন্ট্রি ব্যবসা (Data Entry Business)
ডাটা এন্ট্রি ব্যবসায় হল কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা এক স্থান/প্রোগ্রাম থেকে অন্য আরেকটি স্থান/প্রোগ্রাম এ প্রতিলিপি তৈরি করা । ডাটা এন্ট্রি ব্যবসায়ে মূলত অনলাইন এবং অফলাইন ভিত্তিক দুটি উপায়ে কাজের সুযোগ রয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক কাজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ডাটাসমূহ প্রদান করতে হবে এবং অফলাইনে প্রদানকৃত ডাটাসমূহ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সম্পাদন করতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি ব্যবসায়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা—
ডাটা এন্ট্রি ব্যবসায়ে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হয়:
i. দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতা
ii. মাইক্রোসফট অফিসের উপর পরিপূর্ণ দখল
iii. ইংরেজিতে ভাল জ্ঞান
iv. ইন্টারনেটে সার্চ করার দক্ষতা
v. বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ফোরাম, ওয়েব ডিরেক্টরি সম্পর্কে ভালো ধারনা
ডাটা এন্ট্রি ব্যবসায়ে বাংলাদেশের অবস্থান পূর্বের তুলনায় দিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। উন্নত বিশ্বেও দেশগুলো তাদেও ডাটা-এন্ট্রির কাজগুলো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে করিয়ে নিচ্ছে। আমাদের দেশ যদি ডাটা-এন্ট্রির বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করে তবে স্বল্প প্রশিক্ষণে প্রচুর কর্মসংস্থান এবং আয় করা যাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
কল সেন্টার (Call Center)
কল সেন্টার হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। কল সেন্টারগুলো বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এসব কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা, কার্যক্রম প্রাহকদের টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে জানায়। অর্থাৎ, কোন কোম্পানি তার গ্রাহকসেবা সম্পর্কিত তথ্য জনসাধারনকে জানানোর জন্য অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়। আর এই দায়িত্বপালনকারী প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে কল সেন্টার।
কল সেন্টারে কাজ হয় দুইভাবে। একটি ইন বাউন্ড কল এবং অন্যটি আউট বাউন্ড কল। ইন বাউন্ড কলের মাধ্যমে ভোক্তার নির্দিষ্ট কোম্পানি বিষয়ক যেকোন প্রশ্নের সমাধান বলে দেয়া হয়। আর আউট বাউন্ড কলের মাধ্যমে কোম্পানির পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা হয়। এছাড়া ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, পরামর্শ, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, হিসাব সংরক্ষণ, ডকুমেন্ট স্ক্যানিং, ই-পাবলিশিং ইত্যাদি কাজও কল সেন্টারের মাধ্যমে করা হয় । কল সেন্টারগুলো দেশি অথবা বিদেশি দু'ধরনের কোম্পানির হয়েই কাজ করে । যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ পেশা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে। এমনি একটি নতুন পেশার ক্ষেত্র কল সেন্টার। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এজন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেবার উদ্যোগও নিয়েছে। সম্ভাবনাময় এ পেশায় রয়েছে কাজের বিশাল সুযোগ ।
কুরিয়ার সার্ভিস (Couriar Service)
সরকারি ডাক বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি যে মাধ্যমের সাহায্যে দ্রুত ও বিশ্বস্ততার সাথে চিঠি পত্র ও মালামাল একস্থান হতে অন্যস্থানে প্রেরণ করা হয় তাকেই কুরিয়ার সার্ভিস বলে। মূলত ডাক বিভাগের ব্যর্থতা ও অপ্রতুলতার কারনেই এই ব্যবস্থার উদ্ভব।
ইংরেজি কুরিয়ার (Courier) শব্দের অর্থ দ্রুত বা সংবাদবাহক আর সার্ভিস শব্দের অর্থ হল সেবা। সুতরাং শাব্দিক অর্থে কুরিয়ার সার্ভিস বলতে সংবাদ আদান-প্রদানের বাহক হিসেবে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। ব্যপকভাবে কুরিয়ার সার্ভিস বলতে ডাক বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি এমন প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যারা বাহক আইনের অধিনে চিঠি পত্র, দলিল দস্তাবেজ, জরুরি ডকুমেন্টস, বিভিন্ন মালামাল ও উপহার সামগ্রী ইত্যাদি বিশ্বস্ততার সাথে দ্রুতগতিতে প্রাপকের নিকট পৌছে দিয়ে থাকে।
১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে DHL নামক একটি কুরিয়ার সার্ভিস যাত্রা শুরু করে। ক্যালিফোর্নিয়ার ৩ বন্ধু Adrin Dalsey Larry, Hilbolm ও Robert Lay মিলে দ্রুত সংবাদ ও তথ্য আদান- প্রদানের জন্য নামক কুরিয়ার সার্ভিস চালু করেন। তিন বন্ধুর নামের অদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত DHL নামক কুরিয়ারটি ছিল পৃথিবীর প্রথম কুরিয়ার। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে DHL নামক এ কুরিয়ারটি বর্তমানে নিজস্ব এয়ারপোর্ট ও বিমানের সহযোগিতায় প্রায় ১১৮টি দেশে সেবা প্রদান করে চলেছে। DHL এর সাথেই তাল মিলিয়ে চলছে আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের কুরিয়ার সার্ভিস FedEx। উন্নত বিশ্বের ন্যায় এরপর বাংলাদেশেও DHL এবং FedEx কুরিয়ারের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন কুরিয়ার যেমন কন্টিনেন্টাল, সুন্দরবন কুরিয়ার, বৈশাখী, পাইওনিয়ার, সেন্ট্রাল, ড্রিমল্যান্ড, ডলফিন, করতোয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে চলেছে। বাংলাদেশের কুরিয়ারগুলো শুধু জেলা শহর, কিছু উন্নত যোগাযোগ সমৃদ্ধ থানায় তাদের কার্যক্রম সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টায় তথ্য পরিবেশন করে থাকে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (Sundarban Courier Service)
বাংলাদেশের প্রথম এবং দ্রুত কুরিয়ার সার্ভিস হচ্ছে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস। বাংলাদেশ বিমান যখন তার এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস বন্ধ করে দেয় তখন ১৯৮৩ সালে বেসরকারিভাবে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত হয়। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস হচ্ছে বাংলাদেশ কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। এর কেন্দ্রীয় অফিস ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। এটি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ও পার্সেল সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস (Continantal Courier Serive)
কন্টিনেন্টাল সার্ভিস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে মানুষের বিভিন্ন পার্সেল সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে থাকে। এটি কন্টিনেন্টাল গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩ সালে এটি তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরম্ভ করে। এর এজেন্সীর সংখ্যা ১৫,০০০ এবং সার্ভিস পয়েন্ট ৫০,০০০। কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মার্কেট শেয়ার এবং সেবার গুনাগুন অন্যান্য কোম্পানি থেকে ভিন্ন। তাই এটিকে কুরিয়ার সার্ভিসের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয় । এটির প্রধান অফিস ঢাকার আরামবাগে অবস্থিত।
সফটওয়্যার উন্নয়ন (Software Development)
কম্পিউটার সফটওয়্যার বলতে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহার বিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোন নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়। সফটওয়্যার প্রধানত তিন প্রকার –
i. সিস্টেম সফটওয়্যার:
একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে পরিচালনা করার জন্য এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ প্রদানের জন্য তৈরী করা হয়েছে।
ii. প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার:
এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম অথবা এ্যাপ্লিকেশন যা সফটওয়্যার উন্নয়নকারীরা ব্যবহার করে থাকেন কোন সফটওয়্যার তৈরী, ডিবাগ, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষনাবেক্ষণ অথবা অন্য প্রোগ্রাম বা এপ্লিকেশনগুলোকে সহযোগিতা করতে।
iii. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার:
এটি একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যেটা ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনা (এক বা একাধিক) করতে ব্যবহারকারীকে সহায়তা করে থাকে । একে শুধু এপ্লিকেশন বা এপ (App) ডাকা হয়।
মোবাইল সার্ভিসিং (Mobile Servicing)
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রথম দিকে শুধু ধনীদের ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কম মূল্যে সেবাদানের কারণে অতি দ্রুত হারে সবার হাতেই পৌছে যাচ্ছে মুঠোফোন বা মোবাইল। ধনী-গরিব নিজেদের সাধ্যানুযায়ী মোবাইল সেট ব্যবহার করছে। মোবাইল ফোন সেটটি ব্যবহারজনিত বিভিন্ন কারণে কিংবা অসাবধানতাবশত নষ্ট হতে পারে। এজন্য ঢাকা সহ সারা দেশে কয়েক হাজার মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। যার ফলে মোবাইল ফোনের সমস্যা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। ধীরে ধীরে মোবাইল সার্ভিসিং একটি পৃথক শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার একটি সফল উপায় হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে। এসব প্রশিক্ষণ সেন্টারে মূলত যে কোন মোবাইলের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা এবং সমাধানের উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্স গুলোকে শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা এবং হায়ার ডিপ্লোমারূপে বিভক্ত করে একজন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইলে ব্লু-টুথের মাধ্যমে রিং-টোন আদান-প্রদান, এমপিথ্রি, ভিডিও, ইমেজ ডাউনলোড, সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মোবাইলের আনলক, ডাটা কেবল সমস্যা এবং হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে রেজিস্টার, ক্যাপাসিটার ডায়েড ট্রান্সফর্ম, বিভিন্ন ধরনের সার্কিট ও সেগুলোর কানেকশন ডায়াগ্রাম, সিকিউরিটি কোড সহ বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান টেলিকম বাজারের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় পেশা হিসেবে মোবাইল টেকনিশিয়ানের পদটিকে মোটেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে ৩ থেকে ১০ জন মোবাইল টেকনিশিয়ানের চাকুরির সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশে দক্ষ মোবাইল টেকনিশিয়ানের চাকুরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং নিয়ে যে কেউ স্বাধীন ব্যবসায় হিসেবে স্বল্প পুঁজিতে সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে জীবনে সফলতা আনতে পারে। স্বাবলম্বী হতে হলে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপন করা সম্ভব হয় মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ করার মাধ্যমে। দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা সমাধানে মোবাইল সার্ভিসিং শিল্পের প্রসার বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন মোবাইল ফোন সার্ভিসিং শিল্পকে আরও গতিশীল করে তুলতে পারে, ঠিক তেমনি এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে অসংখ্য বেকার তরুণ ।
ফটোকপি (Photocopy)
বর্তমান যুগকে বলা হয় যান্ত্রিক যুগ। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার থিউরি অনুযায়ী অফিস আদালতের কাজ এখন আর কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে করতে হবে না বরং নির্দেশ অনুযায়ী যন্ত্রই সমস্ত কাজ করে দিবে। আজকাল তাই অফিসের দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদনে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় ফটোকপি বা ফটোস্ট্যাট যন্ত্রটি তাদের অন্যতম ।
ইংরেজি Photocopier বা Photostat শব্দে Photo শব্দের অর্থ আলোকচিত্র আর stat শব্দের অর্থ অবস্থা। অর্থাৎ ফটোস্ট্যাট শব্দ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোকচিত্রগত অবস্থাকে বুঝায়। অফিসে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের চিঠিপত্র, রেকর্ডপত্র, প্রতিবেদন, বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তি, দলিলপত্র, প্রমানপত্র, ক্যাশমেমো ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহৃত ঐ সকল কাগজপত্রের হুবহু নকল কপির প্রয়োজন হয়। সুতরাং যে মেশিন বা যন্ত্র দ্বারা ব্যক্তিগত বা অফিস আদালতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কাগজ প্রত্রের হুবহু অনুলিপি আলোকচিত্রের সাহায্যে প্রস্তুত করা হয় তাকে ফটোকপিয়ার বা ফটোস্ট্যাট মেশিন বলে ।
এ মেশিনের সুবাদে আজকাল অনেক ধরনের জালিয়াতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি অফিস আদালতের কাজ কর্মেও এসেছে গতিশীলতা। ফটোকপিয়ার যন্ত্রের সাহায্যে অল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হুবহু প্রতিলিপি প্রস্তুত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ফটোকপি মেশিন বাজারে পাওয়া যায়। কিছু যন্ত্র আছে যার দ্বারা কপির সাইজ ইচ্ছামত ছোট বড় করা যায় আবার কিছু যন্ত্র আছে যার দ্বারা রঙিন ফটোকপি করা যায়। অতি সম্প্রতি জাপান স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার করেছে যা ব্যবহারকারী ছাড়া নিজে- নিজেই কপির পৃষ্ঠা উল্টাতে সক্ষম।
কম্পিউটার (Computer)
আধুনিক বিজ্ঞানের সব আশ্চর্যতম আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে কম্পিউটার যা মানুষের জীবনধারাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে।
আধুনিক বিশ্বে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। কম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ও ব্যবহার সভ্যতা ও সামাজিক জীবনে নিয়ে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক সুফল বয়ে আনছে। উৎপাদনমুখী উন্নয়ন হচ্ছে ত্বরান্বিত, তথ্য প্রক্রিয়াকরণে ঘটছে নতুন ধারার প্রবর্তন, গতিশীলতা বাড়ছে সর্বক্ষেত্রে। কম্পিউটার এখন অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও গবেষণার দেয়ালে আবদ্ধ নেই। এখন ব্যাপকভাবে গৃহকোণেও ঠাঁই নিয়েছে। কম্পিউটার ছাড়া সভ্যতার অগ্রগতি ভাবাই যায় না। উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা, প্রকাশনা, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, শিল্প, বিনোদন, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সমাজের সর্ব ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে ।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজে আর সামাজিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে পরেছে। যেমন ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি শেয়ার করার জন্য কম্পিউটার নির্ভর বিনোদন ব্যবস্থা, লেখালেখি করা ও যোগাযোগের জন্য সহজলভ্য ও সুলভ মাধ্যম তৈরি করে দিয়েছে কম্পিউটার। মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার, ইন্টারনেট নির্ভর চ্যাটিং ব্যবস্থা সামাজিক সম্পর্ক বিকাশের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন এত বিস্তৃত হচ্ছে যে, ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনের যে কোন কর্মকান্ডে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মানিগ্রাম (Money gram)
মানিগ্রাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থ স্থানান্তরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এটি বিশ্বব্যাপি প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদান করে থাকে। এটি প্রায় ২,৭৫,০০০ প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় ১৯৭ টি দেশে তার সেবা প্রদান করে থাকে । মানিগ্রামের সেবা, ব্যবসায়ীদের দক্ষ এবং অল্প ব্যয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করতে সহায়তা করে। কোম্পানিটির ৮২% মালিকানা হচ্ছে THL এবং Goldman Sachs এর; যার মধ্যে THL এর ৫৩% এবং Goldman Sachs এর ২৯%। মানিগ্রামে বর্তমানে প্রায় ২৬০০ কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি প্রায় ১.১৭ বিলিয়ন ডলার আয় করে। ২০১২ সালের ৯ই নভেম্বর এটি মানিলন্ডারিং আইনে স্বাক্ষর করে ।
মানিগ্রামের উল্লেখযোগ্য সেবাসমূহ:
i. মানিগ্রাম অর্থ স্থানান্তর: মানিগ্রাম বিশ্বব্যাপি থার্ড পার্টি এজেন্ট এর মাধ্যমে ভোক্তাদের অর্থ গ্রহণ ও স্থানান্তরে সহায়তা করে থাকে। ক্যাশ টু ক্যাশ ছাড়াও এটি সরাসরি ব্যাংক হিসাবে, এটিএম এর মাধ্যমে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে, কিয়োশকস (Kiosks) এর মাধ্যমে, ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানে সহায়তা করে থাকে।
ii. মানিগ্রাম বিল পরিশোধ সেবা: মানিগ্রাম তার বিল পরিশোধ সেবার মাধ্যমে ভোক্তাদের বিভিন্ন জরুরী বিল ও নিয়মিত বিল পরিশোধ করে থাকে। এটি বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক রাখে ।
মার্চেন্টডাইজিং (Merchandising)
যারা গার্মেন্টস ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাদের কাছে মার্চেন্টডাইজিং শব্দটি অতি পরিচিত। মার্চেন্টডাইজিং শব্দটি আসছে মার্চেন্টডাইজ শব্দ হতে। মার্চেন্টডাইজ শব্দের অর্থ পণ্যদ্রব্যকে বুঝায় যেগুলো কেনা বা বেচা হয়। মার্চেন্টডাইজ সেই সকল কার্যাবলীর সাথে সম্পর্কযুক্ত যা পণ্যদ্রব্য খুচরা ভোক্তাদের নিকট বিক্রয়ে অবদান রাখে। মার্চেন্টডাইজিং বলতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্য দ্রব্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে এবং ঐ পণ্যগুলো এমন ভাবে উপস্থাপন করে যা ক্রেতাদেরকে ঐ পণ্যগুলো কিনতে উৎসাহিত করে ।
বাংলাদেশে মার্চেন্টডাইজিং ব্যবসায়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি মার্চেন্টডাইজিংকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছে।
মার্চেন্টডাইজিং এর ভূমিকা—